শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:১১ সকাল
আপডেট : ১৫ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকিতে আতঙ্ক কাটছেই না

জান্নাতুল ফেরদৌসী: বোমা মেরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে লেখা উড়ো চিঠি আসার পর ক্যাম্পাসজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তবে আতঙ্ক কাটছেই না। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই এমন হুমকি দেয়া হয়েছে। সূত্র- যমুনা টিভি।

প্রশাসনিক পদের রদ বদল না হলে বোমা মেরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় উড়িয়ে দেয়ার হুমকিতে ভিসির কাছে উড়ো চিঠি আসে গত সপ্তাহে। এর পরপরই বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে। পুলিশ ক্যাম্পাসে তল্লাশি শুরু করলে বোমা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষর্থীদের মাঝে।

শিক্ষার্থীরা বলছে, আমরা অনেক কঠিন সময় পার করছি। সব সময় আতঙ্কে রয়েছি। এই হুমকিটা আমাদের সবাইকে ভাবাচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেউ যদি টার্গেট করে, তাহলে সাধারণ ছাত্ররা সেটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়া্বে।

এই হুমকির কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা অভ্যন্তরীণ দলাদলি ও কোন্দলের জের ধরেই এমন হুমকি। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তারা।

কর্মকর্তারা বলছেন, চিঠিতে হুমকি দিয়ে তারা বলেছে, যদি প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো না হয় তাহলে বোমা মারবে। তার মানে হচ্ছে এটা একটি ষড়যন্ত্র। এটা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পায়তাড়া। সামনে ভিসি নির্বাচনসহ আরো অনেক নির্বাচন আছে, সেই কারণে কোনো একটি মহল এই কাজটি করতে পারে বলে আমাদের ধারণা।

অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির আশঙ্কা ঘিরে ধরেছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছেন তারা। দেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, এই ঘটনার পর থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছি এবং পুলিশের সহায়তা নিয়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এতে এক ধরণের আতঙ্কের ব্যাপার থাকে, এ ধরণের ঘটনা ঘটতে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা প্রয়োজন এবং ব্যবস্থা নিয়েছি।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়